হোস্টিং হল ওয়েবসাইট বা অনলাইন অ্যাপ্লিকেশনগুলোর জন্য স্থান এবং সংসাধন প্রদানের একটি সেবা। এটি একটি সার্ভারে ওয়েবসাইট ফাইলগুলো সংরক্ষণ করে এবং ওয়েবসাইটটি ইন্টারনেটে অ্যাক্সেস করার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত সেবা প্রদান করে। হোস্টিং একটি সার্ভিস প্রদানের মাধ্যমে ওয়েবসাইট ও অনলাইন অ্যাপ্লিকেশনগুলো প্রচলিত এবং উপলব্ধ করে সকল ব্যবহারকারীর সাথে যোগাযোগ সম্পর্ক স্থাপন করে। এটি ওয়েবসাইটের সামরিক পারদর্শিতা, দৃশ্যমানতা এবং দৃশ্যমানতা সংরক্ষণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি ভাল হোস্টিং সেবা সার্ভারের দায়িত্বশীলতা, স্থায়িত্ব, সাইবার নিরাপত্তা, তথ্য সংরক্ষণ এবং গ্রাহক সমর্থনে ভালো অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে।
Table of Contents
Toggleশেয়ার্ড হোস্টিং হল একটি ওয়েব হোস্টিং পরিষেবা, যেখানে একটি সার্ভার ব্যবহার করে একাধিক ওয়েবসাইটের হোস্টিং সেবা প্রুদান করা হয়। এই পরিষেবাটি কম খরচে উপলব্ধ হয় কারণ সার্ভারটি একটি সংস্থানে বিভাগ করে এবং প্রতিটি ওয়েবসাইট একটি আলাদা স্থানে পাওয়া যায় না। অন্যদিকে, শেয়ার্ড হোস্টিং সাধারণত সহজেই প্রযোজ্য এবং নতুন ওয়েবসাইট মালিকরা এটি ব্যবহার করতে পারেন যারা অল্প ট্রাফিক এবং সাধারণ মানের ওয়েবসাইট পরিচালনা করছেন।
শেয়ার্ড হোস্টিং ব্যবহার করার কারণে নিম্নলিখিত কিছু উদাহরণ উল্লেখযোগ্য:
1. খরচ কম: শেয়ার্ড হোস্টিং সেবার মূল সুবিধার একটি হল খরচ কম থাকা। কারণ একটি সার্ভারকে একাধিক ব্যবহারকারীর মধ্যে ভাগ করা হয়, যার ফলে প্রতিটি ব্যবহারকারীর জন্য খরচ কমে যায়। এটি একটি বিশেষত উপযুক্ত বিজ্ঞান শিক্ষার্থীদের, ব্লগারদের এবং ছোট প্রতিষ্ঠানের জন্য খুবই সার্থক হতে পারে।
2. কন্ট্রোল প্যানেল: শেয়ার্ড হোস্টিং সম্প্রতি উন্নত হয়েছে এবং অনেক হোস্টিং সংস্থারা এটি উপাদানগুলির পরিচালনা করার সুবিধা সরবরাহ করে। এটি ব্যবহারকারীদের জন্য সহজেই কন্ট্রোল প্যানেল, এক-ক্লিক স্ক্রিপ্ট ইনস্টলার এবং মেইল সেটাপ প্রয়োজন করে যা ওয়েবসাইট পরিচালনায় সহায়তা করে।
3. সাপোর্ট সুবিধা: অনেক শেয়ার্ড হোস্টিং প্রদানকারী সারাদিন 24/7 সাপোর্ট সেবা প্রদান করে। যদি আপনি কোনও সমস্যায় পড়েন, আপনি সরাসরি সাপোর্ট দলের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন এবং সমস্যাটি সমাধান করতে পারেন।
এছাড়াও, যদি আপনি একটি নতুন ওয়েবসাইট শুরু করতে চান এবং সময়, দক্ষতা এবং অর্থের কারণে একটি দ্বিতীয় ধরণের হোস্টিং সমাধানে নিজেকে সংযুক্ত করতে পারছেন না, তবে শেয়ার্ড হোস্টিং ভাল একটি পছন্দ হতে পারে। শেয়ার্ড হোস্টিং একটি বিশ্বস্ত ওয়েবসাইট হোস্টিং সমাধান হিসাবে ব্যবহার করা যায়, যদি আপনি মাসিক ভিত্তিতে নিশ্চিত থাকেন যে আপনার ওয়েবসাইটে অনেক ট্রাফিক নেই এবং উপরে উল্লিখিত উদাহরণগুলির মধ্যে কোনটি আপনার প্রয়োজনগুলির সাথে মিল।
যখন কোনো হোস্টিং সার্ভারকে বিভিন্ন ব্যক্তি কিনে নিয়ে তারপর ব্যবহার করে ৷ তখন তাকে শেয়ার্ড হোস্টিং বলা হয়। অর্থ্যাৎ, এই পদ্ধতিতে একই সার্ভারে বিভিন্ন ওয়েবসাইট কে হোস্ট করা হয়ে থাকে। মনে করুন, আপনি একটি নতুন ওয়েবসাইট তৈরি করেছেন। সেই ওয়েবসাইটে খুব অল্প পরিমানে ভিজিটর আসে। এখন আপনার জন্য ১ জিবি অথবা ২ জিবি হোস্টিং হলেই যথেস্ট। সেক্ষেত্রে আপনি শেয়ার্ড হোস্টিং ব্যবহার করতে পারবেন। তবে Shared Hosting ব্যবহারের ক্ষেএে বেশ কিছু সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে। চলুন এবার সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
আশা করি শেয়ার্ড হোস্টিং কি এবং এর সুবিধা ও অসুবিধা কি, সে সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন। এবার আপনি জানবেন, যে কখন আপনার এই হোস্টিং ব্যবহার করা উচিত।
যদি আপনি নতুন ব্লগার হয়ে থাকেন। অথবা আপনার নতুন কোনো ওয়েবসাইট থাকে। তাহলে আপনি শেয়ার্ড হোস্টিং ব্যবহার করতে পারবেন ৷ কারন নতুন ওয়েবসাইট সাধারনত ভিজিটর অনেক কম থাকে।
আর ভিজিটর কম থাকার কারনে আপনার ওয়েবসাইটের Data transfer এবং Website Load দুটোই তুলনামূলক ভাবে কম হবে।
এছাড়াও এমন অনেক মানুষ আছেন। যারা শুরুর দিকে তেমন ইনভেস্ট করতে চান না। তাদের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত হোস্টিং হিসেবে প্রথম সারিতে থাকবে শেয়ার্ড হোস্টিং।
এরপর যখন আপনার ওয়েবসাইট ধীরে ধীরে গ্রো করতে শুরু করবে। আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর এর পরিমান বাড়বে।
তখন আপনি আপনার হোস্টিং প্ল্যান আপগ্রেড করতে পারবেন। আমাদের দেশে ১০০০ থেকে ৩০০০ টাকা দিয়ে শেয়ারেড হোস্টিং কিনতে পাওয়া যাবে।
হোস্টিং একটি সার্ভারে আপনার ওয়েবসাইট ফাইলগুলো স্থানান্তর করে রাখে এবং ওয়েবসাইটটি সঠিকভাবে কাজ করানোর জন্য নিম্নলিখিত সেবা প্রদান করে:
ডিস্ক স্পেস: হোস্টিং সেবা আপনাকে ডিস্ক স্পেস প্রদান করে যাতে আপনি ওয়েবসাইটের ফাইলগুলো সংরক্ষণ করতে পারেন। এটি আপনাকে সাধারণত ডিস্কের মাধ্যমে কিছু জিবি থেকে শুরু করে বেশি ডিস্ক স্পেস প্রদান করে।
ব্যান্ডউইথ: হোস্টিং সেবা আপনাকে ব্যান্ডউইথ প্রদান করে যা
ওয়েবসাইটের ট্রাফিক সংক্রান্ত। এটি ব্যান্ডউইথের সীমা নির্দিষ্ট করে যেটি আপনার ওয়েবসাইট সংক্রান্ত ডাটা ট্রান্সফারের জন্য ব্যবহার করা হয়।
ডোমেন নাম: হোস্টিং সেবা আপনাকে একটি ডোমেন নাম প্রদান করে যাতে আপনি ওয়েবসাইটের ঠিকানা নির্দিষ্ট করতে পারেন।
ইমেল হোস্টিং: হোস্টিং সেবা আপনাকে ইমেল সংক্রান্ত সেবা প্রদান করে যাতে আপনি ডোমেন নাম সহ নিজের ইমেল অ্যাড্রেসগুলো তৈরি করতে পারেন।
ডাটাবেস সমর্থন: হোস্টিং সেবা আপনাকে ডাটাবেস সমর্থন প্রদান করে যাতে আপনি ডাটাবেস ব্যবহার করে ওয়েবসাইটের তথ্য সংরক্ষণ এবং প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।
এবার আসবো মূল বিষয়ে, আপনি এতোক্ষন ধরে হোস্টিং সম্পর্কে জানলেন। কিন্তুু প্রশ্ন হলো যে, আপনি এই হোস্টিং কোথা থেকে কিনবেন।
অনেক কম্পানি নানা উৎসবে অফার দিয়ে থাকে। সেসয়ম আপনি আরো কম টাকায় হোস্টিং কিনতে পারবেন।
বাংলাদেশের অন্যতম সেরা হোস্টিং কম্পানি HostSeba থেকে আপনি খুব সহজেই শেয়ারর্ড হোস্টিং কিনে কাজ শুরু করে দিতে পারবেন।
তবে মনে রাখবেন, হোস্টিং কেনার আগে আপনাকে বেশ কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। নাহলে আপনি পরবর্তীতে বিভিন্ন সমস্যায় পড়বেন। যা কখনোই কাম্য নয়।আপনি কোথায় থেকে হোস্টিং কিনবেন,তা আমরা অবশেষ জানবো।
তবে এর আগে আপনাকে জানতে হবে, হোস্টিং কেনার আগে আপনার কি কি বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত।
Copyright © 2024 HostSeba. All Rights Reserved.